দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বরিশাল বিভাগে করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণে কোল্ড চেইনের সক্ষমতা অন্তত ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে, প্রায় সাত লাখ ১৫ হাজার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা বেড়েছে এই বিভাগের। বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগে অন্তত ৫০ টি আইএলআর (টিকা সংরক্ষণের জন্য হিমায়িত বাক্স) করোনো ভ্যাকসিনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব আইএলআর প্রত্যকটিতে সাত হাজার একশ ভাওয়েল রাখতে পারে। সে হিসেবে তিন লাখ ৫৫ হাজার ভ্যাকসিন এভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া, বরিশাল ও ভোলায় দুইটি ডব্লিউআইসি-তে (ওয়াক ইন কুল- টিকা সংরক্ষণের ঠাণ্ডা ঘর) এ ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ৪০ হাজার। সে হিসেবে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার ক্ষমতা আছে। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি ঝালকাঠি ও বরগুনায় দুইটি ডব্লিউআইসি নির্মাণ করা হয়েছে। যার একটির ধারণ ক্ষমতা ৭০ হাজার ভাওয়েল এবং অপরটির ৫০ হাজার। সব মিলিয়ে সাত লাখ ১৫ হাজার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী জানান, জেলার দুই উপজেলায় একটি ৫০ হাজার ভাওয়েলের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ডব্লিউআইসি নির্মাণ করা হয়েছে। এখন পরীক্ষার পর্যায়ে আছে। আগামী সপ্তাহে এটা চালু করা সম্ভব হবে হয়তো। বরগুনায় ৫০ হাজার ভাওয়েল ধারণ ক্ষমতার ডব্লিউআইসির নির্মাণ শেষ হয়েছে বলে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় জানায়, এখানে দুই দফায় তিন লাখ ৪৮ হাজার ভ্যাকসিন এসেছে। ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করতে স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে। ১৩৮টি ভ্যাকসিন বুথের জন্য ২৭৬ স্বাস্থ্যকর্মী, ৫৫২ জন স্বেচ্ছাকর্মীসহ মোট ৮২৮ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ জানান, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। বিসিসি এলাকায় ১৭টি বুথ হবে। এখানে মোট ৫৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, ৩০টি ওয়ার্ডে প্রচার অভিযান ও অ্যাপ সহায়তা দিতে টিম গঠন করা হয়েছে। এখানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে প্রথমে ভ্যাকসিন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, বরিশালের জন্য ইতোমধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। এটি জেলার আইএলআর ও ডব্লিউআইসিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
Leave a Reply